অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধের মান নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪, ০১:১১ এএম

অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধের মান নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

ফাইল ছবি

রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধ এবং অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের মান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 
বুধবার (২৭মার্চ) মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ কথা জানান। সম্প্রতি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচারকালে অ্যানেস্থেসিয়া দেবার সময়ে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।  

অ্যানেস্থেসিয়া জনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকরণ শীর্ষক এই চিঠিতে বলা হয়, অ্যানেস্থেসিয়াও ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য অ্যানেস্থেসিয়াতে হ্যালোজেন ব্যবহার ও এর বিকল্প নির্ধারণ করতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার ঘটনায় মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ করতে সুপারিশ করা হলো। আর এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। 
নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার কক্ষে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন অথবা সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।
সেইসঙ্গে দেশের সব হাসপাতালে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন, সেভোফ্লুরেন এবং ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে। অর্থ্যাৎ এ বিষয়ে খরচের পরিমাণ জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় বলেছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন কেনা-বিক্রি এবং ব্যবহার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, সারাদেশের সব অবেদনবিদদের অর্থ্যাৎ অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদেরকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
দেশের সকল সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের বদলে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্যে চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন কেনার বেলায় স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে ভেপোরাইজার এর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নির্দেশনাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে সুন্নতে খৎনা, অ্যান্ডোসকপি করার সময়ে বেশ কিছু রোগী মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!